নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীতে বাস চাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ সহ নানা ধরনের অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে গালিগালাজ করেছেন নারায়ণগঞ্জে নানা কান্ডে বির্তকিত কমান্ডার গোপীনাথ। আর এনিয়ে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পরলে গণধোলাই থেকে বাঁচতে ক্ষমা চেয়ে সটকে পরেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, কমান্ডার গোপীনাথ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিরুদ্ধাচরন করে বিভিন্ন কটু কথা বলেছে। এ সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এই কথার প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের ধমক দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা কমান্ডার গোপীনাথের উপর চড়াও হয় এবং মারমুখী আচরণ করে। শিক্ষার্থীদের রোষানল থেকে বাঁচতে গোপীনাথ চাষাড়া মোড়ের সুগন্ধা বেকারীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
বুধবার (১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মারমুখী আচরণ করলে কমান্ডার গোপীনাথ দাস রাইফেল ক্লাবের সামনে থেকে এসে চাষাড়ার সুগন্ধা ফাস্টফুডের ভেতরে অবস্থান নেন। এরপর দোকানিরা দোকানের সাটার নামিয়ে দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাটারে আঘাত করতে থাকে এবং দোকানের এক পাশের কাচ ভেঙ্গে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা গোপীনাথকে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন।
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধাকালীন কমান্ডার গোপীনাথ দাসকে ধাওয়া দেয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ধরে। এবং মারমুখী হয়ে উঠলে প্রাণ রক্ষায় দ্রুত একটি দোকানের ভেতর ঢুকে সার্টার নামিয়ে দেন। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সার্টারের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। এতে সার্টার অনেকটা ভেঙ্গে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে। এবং দোকানের ভেতর থেকে বের করে আনে।
এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফের গোপীনাথের উপর চড়াও হয়ে মারমুখী আচরণ করে। এরপর সেখান থেকে গোপীনাথ পাশের নিউ রবিন ফার্মেসী নামক এক ফার্মেসীর ভেতর অবস্থান নেয়। এ সময় দোকানীরা সার্টার নামিয়ে দিলে সার্টারের উপর আঘাত করতে থাকে শিক্ষার্থীরা এবং গোপীনাথকে বেরিয়ে আসতে বলে। এক পর্যায়ে গোপীনাথ তার ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করে। এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
অনেকক্ষন পর অবস্থা শান্ত হলে গোপীনাথ ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা সড়ক হয়ে চলে যান।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে শিক্ষার্থীরা জানান, গোপীনাথ আমাদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিছে। সে বলেছে, আমরা নাকি ফাও আন্দোলন করতাছি। শাহ্জাহান খান নাকি হাসছে সেটা নাকি কোন দোষ না।
এদিকে গোপীনাথ দাস তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একটা অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলাম। আমার হাতে চারাগাছ ছিল। এ সময় ছাত্ররা আমার রিকশা থামিয়ে ভেতরে যেতে না করেন। এর বেশি কিছু আমি বলি নাই।